পঞ্চগড়ে খেলার সময় আড়াই বছরের এক ছেলে শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপিড়ন (বলৎকার) করার অভিযোগ উঠেছে মামুন (১৫) নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে মামুনকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে একই দিন সকালে শিশুর মা বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত মামুন পঞ্চগড় সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুনহার বাদশার ছেলে।
পারিবারিক ভাবে জানায়, গত সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল ভিকটিম শিশুটি। একসময় প্রতিবেশী কিশোর মামুন তাকে ডেকে ঘরে নিয়ে বলৎকার করে। এর পর শিশুটি ব্যথায় কান্না করলে তাকে খাবার দিয়ে বুঝিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায় সে। এদিকে কিছুক্ষণ পর শিশুটির মা শিশুটিকে অসুস্থ্য দেখে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেয়। শিশুটি পায়ুপথে ব্যথার কথা মাকে জানালে বিকেলে মামুনের সাথে সন্তানকে দেখে মায়ের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে মামুনকে বাড়িতে ডেকে এনে রাতেই থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় পরিবারটি। এদিকে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুটির মা জানান, এমন ঘটনা যাতে অন্যকোন শিশুর সাথে না হয় তাই তাকে থানা পুলিশে দেয়া হয়। বর্তমানে আমার সন্তান ব্যথায় থাকতে পারছে না, তার শরীরও দুরবল। আমি তার কঠোর বিচার দাবী করছি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) দুলাল উদ্দীন বলৎকারের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। আটক মামুনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যেমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শান্ত/অননিউজ