পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাটের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর পোষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে প্রভাকর পাল (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে পঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরোপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। রাত ৯টার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে পঞ্চগড় সদর থানা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার লিটন পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত ওই যুবককে ডোকরোপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক প্রভাকর পাল পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া এলাকার বিষ্ণু পালের ছেলে। তবে তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরোপাড়া এলাকার গণপূর্ত বিভাগের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।

এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রভাকর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রতিহিংসার আশ্রয় নিয়েছেন। সেই সাথে আওয়ামীলীগ দলীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের রাজনীতিতে বাধাগ্রস্থ এবং ক্ষতিগ্রস্থ করছেন। নৌকা মার্কার বিদ্রোহী পরিবারের লোকজনদের আত্মীদের বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রভাকরকে। বিবাহ না করলে বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হয়। প্রভাকর আরও লিখেছেন অতি দ্রুত জেলা আওয়ামীলীগের পদ থেকে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে পদ থেকে সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে বহিষ্কারের দাবীয় জানায়। পরে প্রভাকরের দেওয়া পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে সেই পোষ্টটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেখার পর। দেখার পর আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা প্রভাকরকে খুঁজতে থাকেন। পরে চার ঘন্টা পর ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেয় ওই যুবক।

এদিকে নেতাকর্মীরা খোঁজাখুঁজির পর প্রভাকর তার ফেসবুক আইডিতে আরেকটি পোস্ট করেন, সেখানে প্রভাকর লিখেন ভূল তথ্যের উপর ভিত্তি করে সম্রাট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট পোষ্ট দিয়ে ছিলাম। আমি ভূল স্বীকার করেছি ভাইয়ের কাছে। অন্যদিকে মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, এই ঘটনায় আমার প্রানপ্রিয় নেতা আনোয়ার সাদাত সম্রাট ভাইয়ের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। সেই সাথে বর্তমানে নেতা কর্মীরা উত্তেজিত।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।