পঞ্চগড় সদর উপজেলায় শাবানা আকতার আসমা (২৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসমার শ্বশুর সোলেমান আলী, স্বামী আতিকুর রহমান ও ননদ খাদিজা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাতকাজলদিঘি ইউনিয়নের বন্দরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্ররণ করেন।
জানা যায়, মৃত আসমা একই গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী।
আসমার পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২০১৪ সালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের মেয়ে আসমার সাথে বিয়ে হয়। বন্দরপাড়া এলাকার সলেমান আলীর ছেলে আতিকুর রহমানের (৩০) সাথে। তাদের সংসারে ইমরান (৪) নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আতিক ও আসমা ধান মাড়াই করে। পরে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি জোলেখা আক্তার ও ননদ খাদিজা আকতার ধান মাড়াইয়ের খড় নিয়ে যেতে চাইলে আসমা বাধা দেয়। এ নিয়ে একই দিন রাতে শাশুড়ি ও ননদ আসমার সাথে ঝগড়া করে এবং তাকে মারপিট করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আসমার স্বামী আতিকুর গ্রাম্য বাজারে ওষুধ নিতে যায়। পরে সকালে আবারো খড় নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে শাশুড়ি ও ননদ আসমাকে মারপিট করে। আতিকুর বাজার থেকে এসে তার স্ত্রীকে বিছানায় মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা বাসায় গিয়ে আসমার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের খবর দেয়।
এদিকে নিহতের মা মোহসিনা বেগম অভিযোগ করেন, আসমাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। একইসাথে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা বলেন, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হলেও ওই গৃহবধূর শ্বাশুরি পালিয়ে যায়। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।