পঞ্চগড় সদর উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুইজন আহত হলেও আটক হয়েছে রুবেল (২৫) নামে একজন।
শনাবার (২৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের দলুয়াপাড় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, একই এলাকার শাহাজাহান আলীর ছেলে সাগর (২৫) ও মন্তাজ আলীর ছেলে লায়ন (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নৌকার কর্মী সমর্থক ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের কর্মী সমর্থকদের হঠাৎ অতর্কিত হামলা শুরু হয়। এসময় ছুরির আঘাতে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক সাগর ও লায়ন গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
হাফিজাবাদ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী গোলাম মুছা কলিমুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমার ৪-৫ জন কর্মী সমর্থক ওই গ্রামে ছিলেন। এক সময় রাত ৯টার সময় লাঙ্গল প্রতিকের ১০-১২ জন কর্মী সমর্থক ছুরি নিয়ে তাদের অতর্কিত হামলা করে। এতে সাগর ও লায়ন গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের রংপুরে প্রেরণ করে চিকিৎসক। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে হামলা কারিরা পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চেয়ে আইনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী ইসমাইল হোসেন অভিযোগ অশ্বিকার করে বলেন, এটি আমার কর্মী সমর্থকররা করেনি। এটা আমাদের ফাঁসাতে তাদের একটা চাল।
পঞ্চগড় সদর থানার এসআই আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একই সাথে ঘটনার পর ছুরিসহ রুবেল একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনায় বর্তমানে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।