পঞ্চগড়ে মটর পরিবহন শ্রমিকদের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত। রোববার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত পঞ্চগড় শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দফায় দফায় এ সংর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন শ্রমিক সংগঠন ২০০০ এর ৫ জন। তারা বর্তমানে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই সংর্ঘষের ঘটনায় পরিস্থিতি অস্থিরতায় গেলে পুলিশ কাঁদানি গ্যাস, টিয়ারসেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন রেজি:নং ২৬৪ ও ২০০০ এর সদস্য সংগ্রহ ও শাখা সংগঠনের উদ্বোধন নিয়ে এই সমস্যর সৃষ্টি।
তবে মোটর পরিবহন ২৬৪ সংগঠনের দাবী তাদের সংগঠনের সাইনবোর্ড নামিয়ে দিয়ে ট্রাক ট্যাঙ্ক লড়ী সংগঠন ২০০০ এর সাইনবোর্ড উঠানো নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ উপায় না পেয়ে কাঁদানি গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। কেউ পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (২৬৪) সাধারণ সম্পাদক মো.আকবর আলী অভিযোগ করে বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় আমাদের বহু পুরাতন একটি শাখা আছে সেখানে ২০০০ শ্রমিক সংগঠনের নেতারা গিয়ে তাদেরকে ভুল ও মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আগের সাইনবোর্ডটি নামিয়ে তাদের সাইনবোর্ড উঠানো হয়। তবে এটা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা না।তাদের কাজ তারা করবে আমাদের কাজ আমরা করবো। আমি এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা আমার উপর চরাও হয়। এর পর আমার শ্রমিকরাতো আর দেখে থাকবেনা।
ট্রাক ট্যাঙ্ক ট্যাঙ্ক লড়ী শ্রমিক (২০০০) ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আলহাজ জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমরা সংগঠরের বা শ্রম অধিদপ্তরের গ্রেজেট অনুসারে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারি ধারাবাহিকতায় সদস্য সংগ্রহ করে শাখা সংগঠন অনুমদন দেয়ার আলোচনা করায় মোটর পরিবহন ২৬৪ সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সহ এক দল শ্রমিক নিয়ে তারা আমাদের উপর জেলা কর্যালয়ে কেন অর্তকিত হামলা চালায়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারশনের সাথে কথা বলে এর সঠিক বিচার না হলে পঞ্চগড় থেকে সকল প্রকার পন্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে।
ট্রাক ট্যাঙ্ক লড়ী শ্রমিক (২০০০) ইউনিয়নের সহ-সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক জানান, আমাদের কার্যালয়ে তারা অর্তকিত হামলা করেছে। এতে ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, দেবীগঞ্জে শ্রমিক সংগঠন দুগ্রুপের মধ্যে সাইনবোর্ড উঠানো নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়ে টার্মিনাল এলাকায় সংঘর্ষ হয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামিয়েছে। এখন কোন সমস্যা নাই।