মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত তিন দিনে উপজেলার ধুলশুরা এলাকার ১২টি বাড়ি, ১০০ ফুট রাস্তাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। ইতোমধ্যে চর মুকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আংশিক ভবন চলে গেছে নদীতে। যে কোনো সময় বিদ্যালয় ভবনের বাকী অংশ ও সেখানকার অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, ইছামতি, গাজীখালী, কান্তাবতীসহ ১১টি নদী মানিকগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা যায়।
এদিকে জেলার সবচেয়ে বেশি নদী ভাঙন হয় হরিরামপুর, দৌলতপুর, শিবালয়, ঘিওর ও সাটুরিয়া উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায়। গত তিন দিনে জেলার হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নের আবিধারা গ্রামের অন্তত ১২টি বাড়ি, একটি স্কুলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙনের স্বীকার হয়েছে।
ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশল (কেন্দ্রীয়) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙনরোধে আগে থেকেই কাজ চলমান আছে। জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ডাম্পিং শুরু হয়েছে। এখন অবস্থা অনেকটাই ভালো। হয়তো ভাঙনরোধ করা সম্ভব হবে।
এফআর/অননিউজ