কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নেছার আহমেদ এর নিখোঁজ ছেলে মনির আহমেদ অন্তু। ভেড়ামারার পদ্মাপাড়ের সোলেমান শাহ মাজারে যাওয়ার পর গত ৪দিন ধরে অন্তু নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ভেড়ামারার গোলাপনগরের ভাঙাপাড়ার কাছে পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।বুধবার সকালে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার পুলিশের সহায়তায় লক্ষীপুর নৌ-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করতে অন্তুর পরিবারের সদস্যদের কুষ্টিয়া যেতে বলেছে পুলিশ।ভেড়ামারা থানার উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ রায় জানান, ভেড়ামারার গোলাপনগরের ভাঙাপাড়ার কাছে পদ্মা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখা যায়। মরদেহটি অর্ধগলিত এবং পরনে কোনো কাপড় ছিল না। প্রাথমিকভাবে দেখে চেনার উপায় নেই। তবে মরদেহের মাথায় ঝাঁকড়া চুল, বাম কানে দুল ও ডান হাতে সাধু বালা রয়েছে।
মরদেহের বর্ণনা শুনে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নেছার আহমেদ কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন। তিনি বলেন, ‘নেছার আহমেদ মনে করছেন তার ছেলে অন্তুর মরদেহ এটি। নেছার আহমেদ বলেছেন, তার ছেলে ভেড়ামারার পদ্মাপাড়ের সোলেমান শাহ মাজারে এসেছিলেন। রোববার পর্যন্ত তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। এরপর আর ফোন খোলা পাননি। নেছার আহমেদ ঢাকার সেগুনবাগিচায় বসবাস করেন।
লক্ষীপুর নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছি। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির নেতার পরিবারের সদস্যরা গেলে পরিচয় শনাক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ২৪।।