পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হলেও রেল চলাচল চালু হয়নি। তবে এ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত টানা ৪২ কিলোমিটার রেলপথ বর্তমানে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এই পুরো পথে চালানো হবে গ্যাংকার। তবে রেললাইন বসে গেলেও খুঁটিনাটি অনেক কাজ রয়েছে বাকি। সেতুতে বসানো রেললাইনে এখনও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছে। ফলে গ্যাংকার খুব আস্তে চালাতে হবে। তবু গ্যাংকার ঝাঁকি খাবে। যতটুকু পথে রেললাইন বসেছে তাতে ট্রেন চলতে অন্তত আরও তিন মাস লাগবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।
রেল প্রকল্পের অধীন প্রথমে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। এই রেলপথ চালু হলে আরও ছয়টি রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করা শুরু হবে। প্রাথমিক ভাবনায় রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, যশোরের বেনাপোল, খুলনা, রাজশাহীর ট্রেনও এই পথে চালানোর চিন্তা আছে। গ্যাংকার চালানোর বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ৪২ কিলোমিটার পথে গ্যাংকার চালানোর পরিকল্পনা আছে। অনেক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এরই মধ্যে গ্যাংকার চালানো হয়েছে। এদিকে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে।
পদ্মার এ রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা দিয়ে যশোরের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এ ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে নতুন পথে নতুন রেলযাত্রী তৈরি হবে। এতে সময় এবং খরচ দুইটাই বাঁচবে বলে মনে করেন তিনি।
শান্ত/অননিউজ