কোটি মানুষের আকাংখা পূরণ হয়েছিল পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে। দক্ষিণের দুয়ার খোলার সেই মাহেন্দ্রক্ষণের এক বছর পূর্তি আজ। অনেক ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করা আশাজাগানিয়া সেতুটি আজ স্বাধীন বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক।
২৫ শে জুন, ২০২২। দিনটি’র চিত্র বাঙালির মনসপটে অম্লান হয়ে থাকবে বহুদিন-বহু যুগ।
৬ দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটারের সেতুর চালু, বাঙালির মানমর্যাদা পৌছে দিয়েছিল অনন্য উচ্চতায়। দীর্ঘ সময়ের অচলায়তন ভেঙ্গে এক সূতোয় বেধেছিল একটি সেতু। সেই রোমাঞ্চকর গল্প এখনও আলোচিত হয় বয়োবৃদ্ধ সবার মাঝে। শুধু যাতায়াতকে সহজ ও নিরাপদ করেছে, এজন্য নয়। এ যে অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম জিয়ানকাঠি। বড় প্রতিবন্ধকতা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার অবসান হয়েছে। এখন, যতবেশি পরিকল্পিত বিনিয়োগ হবে, এই সেতুর তত বড় সুফল ঘরের তোলা সম্ভব। এমন মত অর্থনীতির বিশ্লষকরা।
মিসিং লিংক ছিল, এশিয়ান হাইওয়ে আর ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওর্য়াকের। অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোকে যুক্ত করে সূচনা করলো, একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের।
অর্থায়ন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে বিশ্বব্যাংকে ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে নিজস্ব ৩০ হাজার ১শ’ ৯৩ দশমিক তিন-আট কোটি টাকার সেতু বানিয়েছে এ জাতি। উদ্বোধনের দিন থেকে, চলতি বছর ২৩ জুন পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে, ৭শ ৯৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।
একটা পরিবর্তন আনতে কিছুটা সময় লাগে কিন্তু সেটা খুব বেশি দিনের নয়। কারণ, আছে আমাদের ভরসার অবকাঠামো পদ্মা সেতু।
এফআর/অননিউজ