গাজার পরিস্থিতি এখন অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) প্রধান। একইসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনী অঞ্চলকে ‘মৃত্যু অঞ্চল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বুধবার এ কথা বলেছেন তিনি।
এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিস্থিতি অমানবিক এবং তা আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, গাজা একটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় বৃহস্পতিবার ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজার এই শহরে প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধে উপায় খুঁজতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইসরায়েলে মার্কিন দূত বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসের ইসরায়েলের ওপর হামলার পর থেকে তেল আবিব গাজায় অব্যাহত অভিযান চালিয়ে আসছে। ব্যাপকভাবে বেসামরিক হতাহতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল হুঁশিয়ার করে বলেছে, হামাস পবিত্র রমজানের শুরুতে বাকী জিম্মিদের মুক্তি না দিলে তারা রাফায় স্থল অভিযান জোরদার করবে।
এদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় গত চারমাসের অব্যাহত ইসরায়েলী হামলায় এ অঞ্চলের প্রায় ২৪ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গাজার দক্ষিণের শহর রাফা। কারণ, এখানে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে জোরপূর্বক বাস্ত্যুচ্যত ১৪ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনী আশ্রয় নিয়েছে। এরা মূলত তাঁবু ও কোলাহলপূর্ণ আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে বসবাস করছে।
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করেছিল। এদের মধ্যে ১৩০ জন এখনও গাজায় আটক রয়েছে। এই ১৩০ জনের মধ্যে ৩০ জিম্মি মারা গেছে বলে ইসরায়েল ধারণা করছে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলায় ২৯,৩১৩ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
এফআর/অননিউজ