শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানির শেষ দিনে ৪২টি ট্রাকে ১হাজার ১৪৪টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে করে বর্তমানে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও হিলির খুচরা বাজারে পেয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ থাকায় মাত্র পাচদিনের ব্যবধানে দাম বাড়ার পরিবর্তে উল্টো কেজিতে ৫ থেকে ৬টাকা করে কমেছে। পাচদিন আগেও প্রতি কেজি পেয়াজ খুচরাতে ৪৮ থেকে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪২টাকা থেকে ৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মসলা জাতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পেয়াজের দাম কমায় খুশি ক্রেতারা আগের মতো স্বাভাবিক পর্যায়ে দাম রাখার দাবী তাদের।
হিলি বাজারে পেয়াজ কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, যে হারে মসলা জাতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পেয়াজের দাম বাড়ছিল তাতে করে আমাদের মতো সাধারন মানুষ পেয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। দাম বেশীর কারনে পরিমান যেমন কম নিতাম তেমনি খাওয়ার পরিমান টাও কমিয়ে দিয়েছিলাম। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় পেয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে এতে কিছুটা সুবিধা হচ্ছে। তবে যেভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০টাকার পেয়াজ ৬০টাকা হয়ে গিয়েছিল সেভাবে তো কমছেনা। দাম আগের মতো ৩০টাকায় আসলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। সরকার পেয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করলো এই সুবিধা যেন আমাদের মতো সাধারন ক্রেতারা পায় পেয়াজের দাম যেন কমে সেই দাবী জানাচ্ছি।
হিলি বাজারের পেয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান ও ফিরোজ হোসেন বলেন,শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে গত ১১অক্টোবর থেকে ১৬অক্টোবর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধের ঘোষনা দেয় ব্যবসায়ীরা। সে মোতাবেক বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধের পুর্বের দিনে ১০ অক্টোবর বন্দর দিয়ে ৪২টি ট্রাকে ১ হাজার ১৪৪টন পেয়াজ আমদানি হয়। যা স্থানীয় বিভিন্ন পেয়াজ আমদানিকারকদের গুদামে এখনো পর্যাপ্ত পরিমানে পেয়াজ রয়েছে। কিন্তু বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধের কারনে যে মোতাবেক পেয়াজের চাহীধা থাকার কথা সে মোতাবেক চাহীধা নেই। যার কারনে ক্রেতা না থাকায় পেয়াজের বিক্রি তেমন নেই। এর উপর অতিরিক্ত গরমের কারনে পেয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার কারনে আড়তগুলোতে পেয়াজের দাম কমায় আমরা আগের চেয়ে কম দামে পাচ্ছি বিধায় কম দামে বিক্রি করছি। এছাড়া কিছু পেয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় গুদামে সেগুলো তারা ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজ থাকলেও ক্রেতা নেই যার কারনে আমাদের পেয়াজ বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। এর উপর সরকার পেয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে পুজার বন্ধের পর সেই পেয়াজ দেশে ঢুকলে পেয়াজের দাম আরো কমে আসবে সেই আশায় অনেকে পেয়াজ কিনছেনা যার কারনে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।