বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজার দুটি লেনে আজ শনিবার সকালে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। পানির কারণে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টোলপ্লাজা এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেলা ১১টায় টোলপ্লাজা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টোলপ্লাজার দক্ষিণ প্রান্তে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ বিভিন্ন রুট থেকে যেসব যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করছে ওই লেনে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে আছে। এর পাশের লেন দিয়ে বিভিন্ন শিল্প–কারখানার গাড়ি ও স্থানীয় লোকজন যানবাহন নিয়ে চলাচল করেন। ওই লেনেও একই অবস্থা। লেন দুটি দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ ছোট ছোট যানবাহন প্রায় অর্ধেক পানির নিচে চলে গেছে।
দুই-একটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে যানবাহনের চালক পানিতে নেমে সেগুলো ধাক্কা দিয়ে পাশে নিয়ে আসে। ট্রাক, লরিসহ ভারী যানবাহন ধীরে ধীরে চলাচল করছে।
কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের চালক নুরুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে এভাবে পানি জমে যায়।
স্থানীয় একটি শিল্পকারখানায় মালামাল নিয়ে আসছিলেন পিকআপ ভ্যানের চালক সুরুজ মিয়া। তিনি বলেন, পানি মারিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যায়। তখন গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কর্মকর্তাদের কাছে গত দুই বছর ধরে একাধিকবার মহাসড়কের পাশে নালা নির্মাণের জন্য বলেছেন। কিন্তু তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল জানান, মহাসড়কের ওই স্থানটি নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। ওই স্থানে নালা নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।