ছোট ফেনী নদীর উপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩২.৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৩ বোল্টের মুছাপুর রেগুলটর পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। সোমবার ২৬ আগস্ট সকালে ছোট ফেনী নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপে ২৩ বোল্টের এ রেগুলেটরটি ভেঙে পানিতে ভেসে যায়। জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এবং নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ছোট ফেনী নদীর ওপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ ভোল্টের রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়। সোনাগাজী ও নোয়াখালী এলাকার এক দশমিক ৩০ লাখ হেক্টর জমির ফসলকে লবণাক্ততা থেকে সুরক্ষা এবং জোয়ারের পানি থেকে এ সমস্ত এলাকাকে সুরক্ষার জন্য জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষাপটে মুছাপুর ২৩ দরজাবিশিষ্ট রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
গত কয়েক দিনের উজানের পানির ঢলে চাপে থাকায় আজ সকলে রেগুলেটরটি ভেঙে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে উজানের পানি নিয়ে উৎকন্ঠা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, মুছাপুর রেগুলটরটি এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে তৈরি করা হয়েছিল। নির্মাণ ত্রুটি ও অতিরিক্ত পানির চাপে আজ শেষ হয়ে গেল। দ্রুত এটি পুনঃনির্মাণ করা না হলে এ অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাপনা শেষ হয়ে যাবে। পানির স্রোতে রেগুলেটরটি ভেঙে যাওয়ায় সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি নদীতে বিলিন হওয়ার আশংকা করছে। এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, মুছাপুর রেগুলেটর পানি চাপে ভেঙে গেছে বলে শুনতে পেয়েছি। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।