পাবনা ইউএনও’র কার্যালয়ে আবেদন করে তথ্য না পাওয়ায় আপীল
পাবনা প্রতিনিধি ।।
পাবনার ০৯টি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও মিলছে না সরকারি দপ্তরের কাঙ্খিত তথ্য।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলার জনতা ডটকম এর সহ-বার্তা সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপি তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিধি মোতাবেক গত আগষ্ট মাসে ২৫ তারিখে তথ্যপ্রাপ্তির আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিগত ২০২১-২২,২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং অন্যান্য কার্যক্রমের আয়-ব্যয়সহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে সকল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও তথ্য প্রদানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য চেয়ে আবেদনের দিন থেকে ২০ কার্য দিবসের মধ্যে আবেদনকারীকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কাঙ্খিত তথ্যের সঙ্গে একাধিক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হলে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারীকে অপারগতার কারণ উল্লেখ করে বিষয়টি অবহিত করবেন।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরেও কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।
প্রতিকার চেয়ে বুধবার (০৯ অক্টেম্বর) ওয়েবসাইট তথ্যমতে পাবনা জেলা ০৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার তথ্যপ্রাপ্তি আপীল কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এবং ০৩ টি উপজেলার তথ্যপ্রাপ্তি আপীল কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং উপপরিচালক (ভার:) স্থানীয় সরকার, পাবনার কাছে আপিল করে বাংলার জনতা ডটকম এর সহ-বার্তা সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপি।
সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপি অভিযোগ করেন, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প, উন্নয়নমূলকসহ অন্যান্য কার্যক্রমের আয়-ব্যয়সহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে সকল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও তথ্য প্রদানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাগনরা কোনো তথ্য দেননি।
তথ্য না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পর বুধবার (০৯ অক্টেম্বর) ওয়েবসাইট এর তথ্যমতে পাবনা জেলা ০৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার তথ্য প্রাপ্তি আপীল কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এবং ০৩ টি উপজেলার তথ্য প্রাপ্তি আপীল কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং উপপরিচালক (ভার:), স্থানীয় সরকার, পাবনার কাছে আপিল করা হয়। এরপরও তথ্য না পেলে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, তথ্য প্রাপ্তির জন্য যে আবেদনটা করা হয়েছে আমার জানা নেই বা কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।
সাঁথিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রাপ্তি আবেদনের বিষয়টা আমার জানা নাই। অনেক আবেদনই আসে, সেটা ম্যানুয়ালী করছে কিনা আমার মনেও নাই। তথ্য আইনে আবেদন করে পরবতীতে যদি আমাকে নক না করে আপীল করে, তাহলেতো ফাঁসানোর মতো হয়ে গেল। আপীল করলে আপীলের জবাব দিবো।
আটঘড়িয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ নাহারুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রাপ্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে আপীল হয়েছে জেলা পর্যায়ে। এটা এখন আপীল পর্যায়ে আছে।
বেড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: মোরশেদুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রাপ্তি আবেদন আমি দেখি নাই ও আপীলের বিষয়ে আমি অবগত নাই।
পাবনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, তথ্য প্রাপ্তির আবেদনের বিষয়টি আমি মনে করতে পারছিনা, বিষয়টি জেনে আমি জানাই, ভুলে গেছি হয়তোবা।
ফরিদপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোছাঃ শিরিন সুলতানা বলেন, তথ্য প্রাপ্তির আবেদন ও আপীল আবেদনের বিষয়টিতে আমি অবগত আছি।
তথ্য প্রাপ্তির আবেদনের ব্যাপারে জানতে চাটমোহর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ করেনি।
পাবনা জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফ আহম্মেদ বলেন, আপীলের আবেদনটা আজ দেখেছি আমি। আমরা নীতিমালা মেনে এটার ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আপীলের আবেদনটি আমি এখনো হাতে পায়নি। অফিসে এসে জমা হয়েছে হয়তো কিন্তু আমার কাছে এখনো আসেনি। আবেদনটি আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
আই/অননিউজ২৪।।