ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আধিপত্যের কারণে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বর্তমানে একই সময়ে চারটি দেশে হচ্ছে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ। যেখানে সবচেয়ে কম আলো কাড়তে পেরেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাগ লিগ, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএলিগ কিংবা দুবাইয়ের আইএল টি-টোয়েন্টির চেয়েও পুরনো বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। তবুও বর্তমানে অর্থের ঝনঝনানি এবং বিপিএলের ব্যর্থতার দরুণ পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি।
বিপিএলের চলমান নবম আসরে বড় তারকাদেরও আনতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বর্তমানে বিপিএলের বড় ক্রিকেটার বলতে রয়েছেন পাকিস্তানের এক ঝাঁক জাতীয় দলের ক্রিকেটার। শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহরা খেলছেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে।
তবে এবার টুর্নামেন্টের মাঝপথে পাকিস্তানের এসব তারকা ক্রিকেটারদেরও হারাতে যাচ্ছে বিপিএল। আসছে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে পাকিস্তানের প্রিমিয়ার লিগের (পিএসএল) অষ্টম আসর। নিজেদের দেশের টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে পিসিবি।
১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পিএসএল শুরু হওয়ায় পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ৮ ফেব্রুয়ারি বিপিএল ছেড়ে দেশে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মুলতানে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এরও আগে নিজেদের ক্রিকেটারদের পেতে চাচ্ছে। পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পিসিবির কাছে টুর্নামেন্ট শুরুর ১০ দিন আগে থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পেতে চাচ্ছে।
যার ফলে পিসিবিও ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিরে যেতে বলেছে নিজ দেশে। যদি পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ২ ফেব্রুয়ারি বিপিএল ছেড়ে চলে যায়, তবে বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আরও বেশি অনাকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। কারণ, বিপিএলের তখনও বাকি থাকবে আরও ১৪ দিন। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি।
চলমান বিপিএলে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আছেন দারুণ ফর্মেও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং খুশদিল শাহ। তিনজনই দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। এরমধ্যে খুশদিল এবং নাসিম তো ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন। একই পুরস্কার জিতেছেন শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদরাও।