ভারত থেকে আমদানি করার পরই দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসছে সাড়ে সাত টাকা দরের ভারতীয় ডিম। এর ফলে বেনাপোলের নাভারন ও বাগআচড়া বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। প্রতিটি ডিমের দাম কমেছে তিন টাকা। ১২ টাকায় মিলছে একটি ডিম।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই দিন আগে বাজারে ১০০টি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩ শ থেকে ১৫ শ টাকায়। আজ সোমবার সকালে বাজারগুলোতে ১০০টি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ শ থেকে ১২১০ টাকায়। আমদানি ও সরবরাহ বাড়ায় কমছে দাম।
সীমান্ত ডিম ভান্ডারের পরিচালক শাহ আলম জানান, দুই দিন আগেও ১০০ ডিম বিক্রি করেছি ১৩ শ থেকে ১৫ শ টাকায়। তবে আজ সকাল থেকে তা নেমে এসেছে ১২ শ টাকায়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে পঞ্চম চালানে এসেছে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম। গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচটি চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চম চালানে আসা ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের চালানটি রোববার খালাস করে পাঠানো হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে। সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে। এরইমধ্যে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে সরকার আরও সাড়ে চার কোটি পিস মুরগির ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত তিন টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭০ পয়সা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
আই/অননিউজ২৪।।