পিরোজপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা বিএনপির গণমিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি ককটেল উদ্ধার ও ১১ জনকে আটক করেছে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি অফিস ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন।
জানা যায়, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয়ে আসতে থাকে। সেখানে আগে থেকে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। এরপরই জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরবর্তীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুরোনো জেলখানার সামনে কালেক্টরেট স্কুলের সামনে জড়ো হয়। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক এবং সাধারণ সম্পাদক ইখতেখারুজ্জামান সজলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে বিএনপি কার্যালয় হামলা চালাতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিএনপি’র কমপক্ষে ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আলমগীর হোসেন। তিনি দাবি করেন বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা করে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি অনিকের দাবি বিএনপি-জামায়াত এর বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ছাত্রলীগ মাঠে অবস্থান নিয়েছিল। এ সময় তাদের উপর বিএনপির লোকজন হামলা করে তাদের কয়েকজনকে আহত করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তারা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে, বিএনপির লোকজন তাদের কার্যালয়ে পালিয়ে যায়।
সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল জানান, বিএনপির লোকজনের হামলায় তাদের ৬-৭ জন আহত হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, বিএনপি ও ছাত্রলীগের কর্মসূচী ছিল। ছাত্রলীগের মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর পুলিশ বিএনপি কার্যালয় ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে ৫টি ককটেল উদ্ধার এবং ১১ জনকে আটক করেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।