ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষেঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও-এরআয়োজন বৈরচুনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। পরে বৈরচুনাউচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভারতী রাণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান, এ্যাডভোকেসি ম্যানেজার ইএসডিও প্রেমদ্বীপ প্রকল্প শাহ আমিনুল হক, উইমেন ইমাওয়ার অফিসার ইএসডিও প্রেমদীপ মরমীতাজ ইসলাম, বৈরচুনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা ম্যানেজার প্রেম দ্বীপ প্রকল্প ওয়ালীউর রহমান, ইকোনোমিক ডেভলপমেন্টঅফিসার প্রেম দ্বীপ প্রকল্প রোশন জামাল চৌধুরী, আদিবাসী সদস্যদের মধ্যেবক্তব্য রাখেন পারগানা পরিষদের সভাপতি দাউদ সরেন, আজলাবাদ গ্রাম ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুকাস টুডু।
উল্লেখ্য, ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিতহয়। জমিদার ও মহাজন ও ইংরেজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাঁওতালদের ওপর নির্মম শোষণ ও অত্যাচার করত। এর প্রতিবাদে গণসংগ্রামের ডাক দেয় ক্ষুব্ধ সাঁওতালরা। সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব- এ চার ভাই।
এদের নেতৃত্বে ভগলা ডিহির ঐতিহাসিক মহাসমাবেশের পর হাজার হাজার সাঁওতালআদিবাসী তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামে। সেদিন বৃটিশসরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল আদিবাসী শহিদ হন।সিধু ও কানু ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন।সাঁওতাল বিদ্রোহের অগ্রগামীনেতাদের স্মরণে প্রতি বছর ৩০ জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন করে আসছে
সাঁওতাল আদিবাসীরা