ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ট্রলি ড্রাইভার বদরুল হত্যা কান্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চার যুবককে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাদের রিমান্ডে
নিয়ে থানা হাজতে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ায় নিহতের স্ত্রীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পীরগঞ্জ উপজেলার উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর মালঞ্চা (কাটাবাড়ি) গ্রামের সফিজুলের ছেলে ট্রলি ড্রাইভার বদরুল হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবীর, উওর মালঞ্চর সমিরুল রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান (সাদ্দাম) আব্দুল কাদের এর ছেলে সাইদুর রহমান, ওয়াজেদ আলি ছেলে মুন্না এবং নিহত বদরুলে স্ত্রী নিলুফা বেগম আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে মঙ্গলবার আদালতে
হত্যাকান্ডের বিষয়ে জবানবন্দী দেয় নিলুফা।
তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বাকিদের পাঁচ দিন করে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে প্রত্যেকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আরিফুল্লাহ। রাতেই ঐ চারজনকে পীরগঞ্জ থানায় আনা হয়। থানা হাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার রায় জানান, বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের আটক করে রিমান্ডে
এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনেই তা বলা যাচ্ছে না আর নিলুফা আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চাপোড় বাজারের দক্ষিনে ওয়াজেদ মাস্টারের আম বাগান থেকে ট্রলি ড্রাইভার বদরুলের গলা
কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন সন্ধায় চাপোড় বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর রাতে আর বাড়ি ফিরেননি।