পূর্বের শত্রুতার জের ধরে খুন করার উদ্দেশ্যে শ্বশুর ও চাচাতো ভাইয়ে বার বার হামলার প্রতিবাদে এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল ১৩মার্চ সোমবার সকালে কুমিল্লার একটি স্থানীয় হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন কুমিল্লা বাঙ্গরা থানার ভুক্তভোগী মো.সোহাগ সরকার ।
সংবাদ সম্মেলনে মো. সোহাগ সরকার বলেন, মো.কমল সরকার আমার চাচাতো ভাই। আজকে থেকে ০৪ বছর আগে ড্রেজার এবং যায়গা জমি নিয়ে তার সাথে মনমালিন্য হয়। সেই শত্রুতার জের ধরে কমল সরকার টাক দিয়ে আমার শ্বশুরকে হাত করে। কমল সরকার এবং আমার শ্বশুরের সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে আমার উপরে একাধিক বার হামলা করে। সেই বিরোধ থেকে কমল সরকার আমাকে প্রাণে মেরে পৃথিবী থেকে চিরতরে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
আজকে থেকে ২ বছর পূর্বে কমল সরকার তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে লোহার তৈরি পাইপ এবং হেমার দিয়ে আমার উপরে হামলা করে। হামলায় আমার ডান হাত এবং বাম পা ভেঙে ফেলে। আমাকে খুন করার চেষ্টা করে। তখন আমার বাড়ির লোকজন এবং আশেপাশের মানুষের সহায়তায় আমিব প্রাণে বেঁচে যাই। এই ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে বাঙ্গরা থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে যা বর্তমানে বিচারাধীন।
ঐ হামলার পরে কমল সরকার আমাকে খুন করার জন্য আমার উপরে আরো ২ বার হামলা করে। হামলা করার পরে বাঙ্গরা থানার তাকে ধরে নিয়ে মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। যেখানে বলা হয়ে ছিলো আমার উপরে আর হামলা করবেনা।
কিন্তু বর্তমানে সে আমার শ্বশুরকে সাথে নিয়ে আমাকে হত্যা করার কঠিন ষড়যন্ত্র করছে যার সহযোগী হিসেবে সব চেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করছে৷ আমার মামলার ২নং আসামী আমার শ্বশুর।
আমার শ্বশুর আমার স্ত্রী সন্তানদের ভেড়ানোর কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে সুকৌশলে আটকে রাখে। এবং আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমার বাড়ির লোকজন আমার স্ত্রী সন্তানকে আনতে গেলে তাদের কাছে না দিয়ে উল্টা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। অনেক দিন ধরে আমার স্ত্রী সন্তান জিম্মি করে আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। লোকমুখে শুনেছি আমাকে চিরতরে খুন করে আমার যায়গা জমি দখল করে নিবে। এবিষয়ে আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে আমার বাবার সামনে আমাকে মারধর করে।
গত ২৪/০২/২০২৩ তারিখে আমার শ্বশুর এবং কমল সরকার মিলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য তাদের সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে হাটখোলা বাজারে অবস্থন করে। আমি ঐরাতে চালমাস্তান সাহের এর দরবারে গান শুনতে গেলে তারা আমাকে হত্যা করবে। আমি বিষয় আচ করতে পেরে সেখান থেকে আমার বাড়িতে চলে আসি। তখন তারা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা করে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য।
আমি মামলা করার কারণে তারা আমাকে বার বার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার জীবন সংকটাপন্ন। প্রশাসনের কাছে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাঙ্গরা থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত আছি। মামলা আদালতের পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে নির্দেশনা আসলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।