রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে তৈরি হচ্ছে ২০টি মডেল ঘর। প্রতিটি ঘরে পাঁচজন কৃষক যৌথভাবে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিল দিয়ে ৬ থেকে ৯ মাস ৩শ মণের বেশি পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। সে হিসেবে একশ’ কৃষক রাখতে পারবেন ৬ হাজার মণ পেঁয়াজ।
সারাদেশে মোট উৎপাদনের ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ পেঁয়াজ আবাদ হয় রাজবাড়ীতে। জেলার পাঁচ উপজেলায় পেঁয়াজ আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি হয় কালুখালীতে। কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ভরা মৌসুমে কমদামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে হয় কৃষকদের। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কালুখালীতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের বিনামূল্যে দিচ্ছে ২০টি মডেল ঘর। কংক্রিটের পিলারের ওপর বাঁশ-কাঠের মাচা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ঘরগুলো। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। পাঁচজন কৃষক একটি ঘরে তিনশ’ মণ পেঁয়াজ ৯ মাস সংরক্ষণ করতে পারবেন।
জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা মো. রাজিব খান বলেন, “এই প্রকল্পের ঘরে তারা যদি ৬ থেকে ৯ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারে সেক্ষেত্রে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সারা বছর পেঁয়াজের যে ঘাটতি তা অনেকটাই কাটানো যাবে।”
জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পূর্ণিমা হালদার বলেন, “প্রত্যেকটা ঘরে ৫টি পরিবার পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবে। যদি এই প্রকল্পটা সার্থক হয় কৃষক যদি এই ঘরের সুবিধাটা পায়, কৃষক যদি বেশি দিন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারে তাহলে পরবর্তিতে এই ঘরের সংখ্যা বাড়ানো হবে।”
জেলায় ৩৪ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ২৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে।
এফআর/অননিউজ