প্রচণ্ড লড়াই অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া ও ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সহযোগিতার একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ স্থাপন করলো দেশ দুটি। বুধবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন। খবর এএফপি’র।
এ শস্য চুক্তিকে স্বাগত জানানসহ রপ্তানির বিষয় আরও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিয়েভে চীনের বিশেষ দূতের সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় এই চুক্তির বিষয়টি আসে এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ দেশ ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হয় এমন কোন শান্তি চুক্তি গ্রহণ করবে না। মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রকাশ্যে নিন্দা করেনি। চীনের দূত লি হুই এ সংঘাত নিরসনে বেইজিং নেতৃত্বাধীন আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
শস্য চুক্তির মেয়াদ দুই মাস বাড়ানোর ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান বলেছেন, ইউক্রেনের দুটি বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো না আটকানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘ মহাসসিচব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই চুক্তি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করা হয়ে থাকে।’ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকট মোকাবিলার জন্য এই চুক্তি হয়। শুরুতে ১২০ দিনের জন্য কার্যকর ছিল শস্য করিডোর। গেল নভেম্বরে ফের ১২০ দিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু মার্চ মাসে ৬০ দিনের জন্য মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয় রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ফরহাদ/অননিউজ