কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান)পদে নিয়োগে প্রতারিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত প্রধান শিক্ষক এবার হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শামীমা আক্তার সরদার নামে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিলমারী মডেল থানার এ.এস.আই আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শূণ্য পদ দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হলেও দীর্ঘ ৯ বছর পর ওই শিক্ষিকা জানলেন তার নিয়োগটি বিধি মোতাবেক হয়নি। ওই বিদ্যালয়ে ওই পদে একজন চাকুরিরত রয়েছেন, তার পদটি শূণ্য নয়।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম শামীমা আক্তার সরদার। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের শামসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ নিয়েছিলেন তিনি।
অভিযোগ বলা হয় শূণ্য পদ দেখিয়ে তাকে সমাজ বিজ্ঞান পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও এখন তাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগ নিতে বলছেন প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শামীমা আক্তার সরদার লিখিত অভিযোগে বলেন, সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে যোগদান পেতে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেয়া হয়। সে সময়ে ৩ মাসের মধ্যে নিজ দায়িত্বে এমপিও ভুক্ত করে দিবেন মর্মে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাকে এমপিও ভুক্ত করাতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। কেননা সমাজ বিজ্ঞান পদটি শূণ্য দেখানো হলেও পদটি শূণ্য ছিলো না। ওই পদে সালমা আক্তার বানু নামে একজন চাকুরিরত রয়েছেন। পরে তাকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে পূন:নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রস্তাব করেন প্রধান শিক্ষক।
সহকারি শিক্ষক সালমা আক্তার বানু বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে সমাজ বিজ্ঞান পদে যোগদান করে অদ্যবদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছি। তিনি আরো বলেন আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত- বুধবার (২১ আগস্ট) শামসপাড়া এলাকায় আমার বাড়ির সামনে এসে আমাকে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন। এতে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিঘ্ন।তাই থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাজ্জাদুর রহমান হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
চিলমারী মডেল থানার এ.এস.আই আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় শুক্রবার রাতে বসা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক মো. সাজ্জাদুর রহমান সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে শামীমা আক্তার সরদারের বেতন করে দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন। যদি বেতন না করে দিতে পারেন তাহলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।