দেবিদ্বারে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ঘরে আগুন ও পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের আভিযোগে আতিকুর রহমান নামে এক যুবককে আটক করে থানায় দিয়েছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে পৌর এলাকার চাঁপানগর গ্রামে এ ঘটনা হয়। এ ঘটনায় একই গ্রামের মো. শরীফ হাজারী বাদী হয়ে আতিকুর রহমানসহ ৩ জনকে আসামী করে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি মো. নয়ন মিয়া।
আটক আতিকুর রহমান (২৬) ওই গ্রামের আহমদ আলী বাড়ির আলম মিয়ার ছেলে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চাঁপানগর গ্রামের আবু তাহের ও রহুল আমিনের পরিবারের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষে একাধিকবার সংঘর্ষ ও বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সকালেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পৃথক দুটি মামলা মামলা করেন। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রুহুল আমিনের ভাতিজা আতিকুর রহমান প্রতিপক্ষ আবু তাহেরদের ফাঁসানোর জন্য নিজের বসতঘরে আগুন দিয়ে সটকে পড়ার সময় কয়েকজন তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেয়। স্থানীয়রা এসে ঘরের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকের মা রাশিদা বেগম ও তার চাচী আয়েশা বেগম বলেন, রাতে ঘরে আগুন দেখে চিৎকার দেই, ভোরবেলা দেখি পুকুরে মাছ মরে যাচ্ছে। পরে জানতে পারি আতিককে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। আমাদের বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নাই। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, আটক আতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ঘরে আগুন ও পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মারা কথা স্বীকার করেছেন। পূর্বের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, আগুন ও মাছ মারার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে এই দুই মামলায় আতিককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এফআর/অননিউজ