প্রথম আন্তর্জাতিক আলবাট্রস -ট্রেইল ম্যারাথন
হলাপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ি :

পাহাড়ে প্রথম আন্তর্জাতিক আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথন শুরু হয়েছে। পাহাড়ের আঁকাবাকা মেঠো পথ, উঁচু নিচু পাহাড়ে, চেঙ্গী নদীর বালুচরে, অরণ্যের গহীনে এবং পাহাড়ি গ্রামের দৌড় আলবাট্রস ট্রেইল ম্যারাথনে অত্যন্ত আকর্ষণ। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি তোলে ধরতে এমন আয়োজন জানান উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশের প্রথম বারের মতো আন্তর্জাতিক আলবাট্রস -ট্রেইল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে রান বাংলাদেশ। তাও পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়িতে। খাগড়াছড়ি কংচাইরী পাড়াতে মায়াবিনী পর্যটন লেকে শনিবার ভোরে ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ শত জন আবেদন করে, সেখান থেকে বাছাইয়ে সেরা ১৫০ জন নির্বাচিত নারী ও পুরুষ এ ম্যারাথনে অংশ গ্রহন করেছে। ৩৩ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে রাকিবুল হাসান, ৫০ কিলোমিটারে দৌড়ে প্রথম হয়েছে মাসুদ রানা, ৮৩ কিলোমিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে মো: সাজ্জাদ হোসেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহনকারীরা বলেন, আগে অনেক ম্যারাথনে দৌড়েছে কিন্তু এটার মধ্যে যে আনন্দ পেয়েছি অসাধারণ।
অংশ গ্রহনকারী আরেকজন বলেন, নতুন পরিবেশে অরণ্য থেকে গহীন অরন্যে আলোছায়া পাহাড়ি পথের রাস্তায় দৌড় নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে।
রান বাংলাদেশ ফাউন্ডার ও রেস ডিরেক্টর মরিময় তাবাসুম জানান, বাংলাদেশের পাহাড়ি মানুষের জীবনযাপন, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সৌন্দর্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। এখানকার স্থানীয় আদিবাসীদের জীবন বৈচিত্র্য ও মেলবন্ধনের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে। পাশাপাশি একে অপরের জানার জন্য এমন উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যান্ত এলাকার মানুষেরা জানবে বুঝবে, ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছা শক্তি বাড়বে।
ইভেন্ট ডিরেক্টর সাজনান মোহাম্মদ জানান, বাংলাদেশের আমরা প্রথম এমন আয়োজন করেছি। তিনটি ক্যাটাগরিতে পাহাড়ি এলাকায় ৩৩, ৫০, ৮৩ কিলোমিটার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোর ৫ টায় থেকে শুরু হয়েছে রাত ৯ টায় শেষ হবে। এ ম্যারাথনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১৫০ জন নারী ও পুরুষ অংশ নেন।
স্থানীয়রা বলেন, এমন আয়োজন দৌড়বিদদের নতুন কিছু জানার সৃষ্টি ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা ম্যারাথনে অংশগ্রহণে উজ্জীবিত হবে।