নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর অভিযোগ করেছেন সোনারগাঁয়ের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ও ইউনিয়নের নেতাদের পক্ষে এমন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের মতামত নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরসহ প্রতিটি ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলায় কোনো সভা না করেই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে কায়সার হাসনাত আরও বলেন, তৃণমূলের পছন্দের তালিকায় নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয় বর্তমান চেয়ারম্যানসহ মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকের নাম ছিল প্রথম দিকে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় নেতাদের নাম তালিকার পেছনে রেখে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নাম প্রথমে রেখে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আবদুল হাই ও আবু হাসনাত শহীদ অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এ বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ও ইউনিয়নের নেতাদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবে তিনি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সভাপতি আবদুল হাইয়ের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বলেন, ‘আমরা কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত নই। জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।