প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন তিনি। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোয়া ১০টায় শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
পরবর্তীতে এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে।
চুক্তিগুলো হলো, দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ারও কথা রয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন। আজ সকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন কাতারের আমির।
সূচি অনুযায়ী- দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করবেন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমিরের কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফরে এলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন।
সূত্র : আরটিভি অনলাইন
এফআর/অননিউজ