ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র।
মেয়র তাপস বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রায় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আর যে একদিন আছে এর মধ্যে আমরা বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।
মেয়র বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এ ছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং ছাতা জামাতে আনতে পারবেন। তবে দেয়াশলাইসহ আগুন জালানোর কোনো সরঞ্জাম নিয়ে কাউকে জামাতে প্রবেশ না করতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহের বাইরে দেখা গেছে, মূল গেটসহ আশপাশের এলাকা সাজানো হয়েছে রং-বেরঙের কাঠামোয়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের জন্য অজু, খাবার পানি ও মোবাইল টয়লেট এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, মেয়র, দেশি-বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের জনগণ। ইমামের পেছনে ভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তাবেষ্টনী করে রাখা হয়েছে। পুরো প্যান্ডেল জুড়ে মাইক, বিদ্যুৎ সংযোগ, ফ্যান ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রায় শেষ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদগাহজুড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি।
সূত্র : আরটিভি অনলাইন
এফআর/অননিউজ