আইনজীবী পেশাকে পুঁজি খাটিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লায় এক ভূয়া আইনজীবীকে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষার এমসিকিউ পর্বে পাশ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় সেই কথিত আইনজীবী। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা পাশ করতে না পেরে টাকা ফেরত চাইলে নান টালবাহানা শুরু করে। অপরদিকে ভুক্তভোগীদের হুমকি দেয় তারা যদি অতিরিক্ত চাপ দেয় তবে তারা যেন কোনদিন আইনী পেশায় নিয়োজিত হতে পারবেনা ।
এমতাবস্থায়, শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ব্যাংক হতে লোন গ্রহণ ও ঋণের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত টাকা প্রদানের ফলে পরিবার, সমাজ হতে হতাশাগ্রস্থ ও দুর্দশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে র্যাব-১১, কুমিল্লা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা উক্ত প্রতারক ও তার সহযোগীকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং মাঠ পর্যায়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
ছায়া তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৬ মার্চ তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার ধর্মসাগর এলাকা থেকে প্রতারক মোঃ এহতেশামুল হক ওরফে এ্যাডভোকেট নোমান ও তার শ্যালক জাহিদ হাসান ভূইয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, বার কাউন্সিল এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তরপত্র, আইন সম্পর্কিত প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র, ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া সার্টিফিকেট, হলফনামা, ১ টি এটিএম কার্ড, ১ টি সিটি ব্যাংকের চেকবই, স্ট্যাম্প, কথোপকথনের স্ক্রীনশট, ২ টি পেনড্রাইভ, ২ টি আইনজীবী সম্বলিত মনোগ্রাম, ১ টি কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি, ৫ টি মোবাইল ও নগদ ১৮,০০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব।