ভারতের নয়ডায় এক নারীর বাড়িতে গিয়ে হাজির এক যুবক। তার দাবি ওই নারী তাকে কালোজাদু করেছেন। শনিবার (৩ মে) আকস্মিক সীমা হায়দার নামে ওই নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে সেই যুবক।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ ওই যুবককে তেজস নামে শনাক্ত করেছে। সে গুজরাটের সুরেন্দর নগরের বাসিন্দা। পুলিশ বলেছে, তেজসকে দেখে মনে হচ্ছে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত সে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে সীমা হায়দারের বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে।
রাবুপুরো কোতোয়ালি পুলিশের ইনচার্জ সুজিত উপাধ্যায় বলেন, তেজসের বাড়ি গুজরাটে। ট্রেনে করে সে গুজরাট থেকে নয়া দিল্লি গিয়েছে। সেখান থেকে বাসে করে সীমাদের গ্রামে যায়। এক পর্যায়ে মোবাইলে সীমার ছবি তোলে। এ অভিযোগে তেজসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, সীমা তাকে কালোজাদু করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, সীমার বাড়ি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদে। ২০২৩ সালের মে মাসে সন্তানদের নিয়ে তিনি করাচির বাড়ি ছাড়েন। তারপর নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপরের জুলাই মাসে তিনি সংবাদ শিরোনাম হন। তখন ভারত কর্তৃপক্ষ দেখতে পায় যে, সীমা বসবাস করছেন শচিন মিনার (২৭) সঙ্গে। সীমা হায়দার দাবি করেন শচিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।
উল্লেখ্য, সীমার প্রথম স্বামী পাকিস্তানে। তার নাম গোলাম হায়দার। তার ঔরসে সীমার চারটি সন্তান এবং শচিনের সঙ্গে একটি মেয়ে সন্তান আছে।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
আই/অননিউজ২৪।