দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত এশিয়া কাপে শুরু থেকেই দলের সঙ্গে থাকার কথা ছিল ওপেনার লিটন দাসের। কিন্তু অসুস্থতার কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি তিনি। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন ক্লাসিক এই ব্যাটার। এরপর মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, ছয় জাতির এই টুর্নামেন্টের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে লিটনকে একাদশে দেখা যেতে পারে। তবে মূল সমস্যা হলো, লিটনকে খেলাতে গেলে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। তাকে (লিটন) স্কোয়াডে নিতে হলে অন্য একজনকে বাদ দিতে হবে।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আইন অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শুরুর পর কোনো দলই নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে না। ইনজুরি কিংবা নির্দিষ্ট কোনো কারণে স্কোয়াড থেকে কেউ ছিটকে গেলে তার পরিবর্তে অন্য একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
এর আগে, লিটনের বদলি হিসেবে এনামুল হক বিজয়কে শ্রীলঙ্কাতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে লিটন ফিরলে তারই জায়গা হারানোর সুযোগ বেশি। অন্যদিকে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও এখনই তাকে বাদ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর বিজয়কে বাদ দিতে হলে এসিসিকে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে বিসিবির। কেননা, বিজয়ের কোনো ইনজুরির সমস্যা নেই। এজন্য দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অন্য বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। তা না হলে, মাঠে নামা অনিশ্চিত লিটনের।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিটনকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে যুক্ত করা হলেও এখনই কাউকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ভাষ্য, এশিয়া কাপের স্কোয়াডে কিছু চোট সমস্যা আছে। সেজন্য টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, বাড়তি খেলোয়াড় থাকা দরকার। আমরা বিসিবির মেডিকেল বিভাগের ছাড়পত্র পেয়েছি। লিটনের স্বাস্থ্য ঠিক আছে জেনে তাকে পাকিস্তান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।
এফআর/অননিউজ