ফেনীতে হিন্দু-মুসলিম ও পুলিশের ত্রিমূখী সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক কাউসার (২১) মারা গেছেন। তিনি ঢাকা-কাকরাইল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ অক্টোবর শুক্রবার রাতে মারা যান।
শনিবার দুপৃর ২টায় বাড়ির সামনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার জানাজায় দলমত নির্বিশেষে সবর্স্তরের জনতার ঢল নামে। সে সোনাগাজী বাজারের পান বাজারের ব্যবসায়ী এবং উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ির ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের বড় ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৬ অক্টোবর কাউসার ফেনী বড় মসজিদে নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হন। বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সোনাগাজীর নিজ বাড়িতে ছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তাকে ঢাকায় ওই হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা একরামুল হক সবুজ জানান, ওই দিন দোকানের মালামাল কিনতে কাউসার বিকেলে ফেনী গিয়েছিল। ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হওয়ার সাথে সাথে ত্রিমূখী সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহত হয়। শুক্রবার রাতে তার লাশ ঢাকা থেকে সোনাগাজী পৌর শহরের কাশ্মির বাজার সড়কের ভাই ভাই মঞ্জিলের বাসায় আনা হলে কান্নার রোল পড়ে যায়।
মা-বাবা পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ। এলাকার নম্র-ভদ্র কাউসার বাবার সাথে ব্যবসা দেখাশুনা করতো। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে কাউসার ছিল সবার বড়। তার মৃত্যুর খবর দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা সমালোচনা করে অনেকেই বরূপ মন্তব্য করেন।
রাত তিনটার দিকে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ কাউসারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শনিবার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে তার ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য ভোয়াগ গ্রামে নেয়া হয়।
কাউসারকে একনজর দেখার জন্য হাজারো নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। তার জানাজায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিপুল সংখ্যাক পুলিশ সহ হাজারো মুসল্লী অংশগ্রহন করেন।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24