বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৪ আগস্ট ফেনীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে নিহত আট ছাত্রের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু নিহতদের পরিবারের সদস্যসদের হাতে এ অনুদান প্রদান করেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা জায়লস্কর ইউনিয়নের নিহত সারোয়ার জাহান মাসুদের কবর জিয়ারত করেন এবং তার পিতার হাতে অনুদানের অর্থ প্রদান করেন। পরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব, সাইদুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলার জাকির হোসেন শাকিব, মাহমুবুবুল হাসান মাসুম, আবদুল গণি বোরহান, ফুলগাজী উপজেলার ইশতিয়াক আহমেদ ও পরশুরাম উপজেলার ইকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারকে সহায়তা প্রধান করা হয়।
এ সময় আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত হলো বাংলাদেশ। যে স্বৈরশাসক মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও স্বাধীনভাবে চলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণকে শাসনের নামে শোষণ করে আসছিল।
কিন্তু আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের রোষানলে পড়ে স্বৈরশাসক হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটল সে অভ্যুত্থান সফল হয়েছে অনেকগুলো তাজা প্রাণের বিনিময়ে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে অনেকেই নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও অগণিত।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহানা আক্তার শানু, আবু তালেব, কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজান মিয়া সম্রাট, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, আনোয়ার পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন সহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাবেদ হোসাইন মামুন