ফেনী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও খাস জমিতে পুকুর খননের অভিযোগে বিএনপির ৭৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের দুটি স্থানে অবৈধভাবে খাস জমি থেকে বালি উত্তোলন ও পুকুর খননের অভিযোগে বিএনপির ৭৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও এজাহারে দলীয় পদ উল্লেখ না করে তাদেরকে ভুমি ও বালিদস্যু উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আসামিরা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদপদবীতে রয়েছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আমিরবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০-৫৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহিম, যুবদল কর্মী নুর আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মিরসরাই বিএনপি নেতা শেখ ফরিদ মেম্বার, জেলা ছাত্রদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম রানা, যুবদল কর্মী মুন্সি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ, আজিজ মেম্বার, শাহজাহান সাজু, হক সাহাব, ছাত্রদল নেতা নুর আলম শামীম, মো: মাসুদ, যুবদল নেতা হায়দার আলী মাসুদ ভূঞা, মো.রিপন, মো. রাজু, মিলন ভূঞা এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল সজীব সহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৫৫জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২৩), ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ লঙ্ঘন করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করেছেন গত ১৪ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত নবাবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ও মোবারকঘোনা এলাকায় বড় ফেনী নদীর পাড় থেকে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার করে বালু-মাটি উত্তোলন এবং সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপন করা হয়। এতে নদীর তীর ভাঙন, বালুর চর সৃষ্টি এবং বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার কলমির চর থেকে স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করে সরকারি জমি কেটে মাটি উত্তোলন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং মাছের প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসন একাধিকবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করলেও আসামিরা পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও জমি দখলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। গত ২৯ আগস্ট শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে দুটি এস্কেভেটর ও ৬০ হাজার সিএফটি বালি জব্দ করেন। এর মধ্যে আসমামিদের নাম সংগ্রহ করে মামলা দায়ের করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজিদ আকন মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
jn