ফেনী-৩ আসনে ছেলে আছেন বাবা নেই, স্বামী আছেন স্ত্রী নেই

সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।

ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা ছিল বাবা-ছেলে ও স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাদ পড়েছেন ছেলে ও স্ত্রী। পরে অবশ্য হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ছেলে। অন্যদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী-৩ আসনে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে চারজন ছিলেন বাবা-ছেলে ও স্বামী-স্ত্রী। একই আসনে বাবা-ছেলে ও স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় বেশ আলোচনা চলছিল পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে। তবে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ছেলে ও স্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার, তার ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত, সৌদি আরবের জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্যাহ এবং তার স্ত্রী জেদ্দা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পারভীন আক্তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত ও পারভীন আক্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ শতাংশ ভোটার তালিকার সই সংক্রান্ত জটিলতায় বাদ পড়েন।

অন্যদিকে, একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে দলীয় সমঝোতায় মহাজোটকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় নৌকার প্রার্থী আবুল বাশার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

এ আসনে প্রতীক প্রাপ্তরা হলেন জাতীয় পার্টির লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র হাজী রহিম উল্যাহ (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন (একতারা), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু নাসির (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান (ছড়ি), আনোয়ারুল কবির রিন্টু আনোয়ার (বাঁশি), আবুল কাশেম আজাদ (ট্রাক) ও ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত (কাঁচি)।

তবে এবারের জাতীয় নির্বাচনকে আরেকটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন রহিম উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার জন্য দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাধা নেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আরেকবার প্রমাণ করতে চাই। দশম জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটাররা আমাকে আবারও নির্বাচিত করবেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো।’ ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত বলেন, নির্বাচনের মাঠ ঘোচানো আছে। জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে উম্মুখ হয়ে আছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, ফেনী-৩ আসনে ইতোমধ্যে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়ে সবাইকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে তিনি জানান।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ