নড়াইলে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি এবং মোঃ মনিরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক এবং ইজাজুল হাসান বাবু সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয়
অধিবেশনে নির্বাচন শেষে রোববার (১৬ ফেব্রæয়ারী) সন্ধ্যার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান ফল ঘোষনা করেন। এ সময় বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অন্দিন্দ্য
ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
রোববার বেলা ১১ টায় নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সম্মেলেন উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে র্ভাচুয়ালী যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন। সম্মেলনে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অন্দিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মো. জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদি সৈরাচারীরা সরকার তামাশার নির্বাচন করে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
আপনাদের প্রতিরোধে পালিয়েছে সেই ফ্যাসিবাদী সরকার। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি। মানুষের কথা বলার অধিকার,ভোটের অধিকার, রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।এখন নতুন করে দেশ গড়ার সময়।
তিনি আরও বলেন, যখনি দেশের ক্রান্তিকালের সৃষ্টি হয়েছে তখনি বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থেকেছে। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা নিয়ে জনগনের দোরগোড়ায় যেতে হবে। এখন রাষ্ট্র পূর্ণ গঠন করার দায়িত্ব আমাদের।
আগামী প্রজন্ম যেন শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
সম্মলেনের দ্বিতীয় ধাপে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জেলার মোট
৪টি থানা ও ৩টি পৌরসভার মোট ৭টি ইউনিটের মোট কাউন্সিলর ছিলেন ৭০৭ জন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন ২ জন। এদের মধ্যে সভাপতি পদে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ৪শ ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্ধি জুলফিকার আলী মন্ডল পেয়েছেন ২শ৩৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন তিন জন। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ৬শ৩৬ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি শাহরিয়ার রিজভী জর্জ আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ২শ৬৩ ভোট এবং অ্যাডভোকেট মোঃ
কামরুল হাসান পেয়েছেন ১ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন ৪ জন। এদের মধ্যে খন্দকার ইজাজুল হাসান বাবু ২শ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি অ্যাডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ জাপল ২শ ৭২ ভোট পেয়েছেন। এ
ছাড়া অপর প্রার্থী মোঃ টিপু সুলতান ১শ২৪ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী এস.এম ফেরদৌস রহমান কোন ভোট পাননি।