কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ১ হাজার ৭ শ’ ৯০টি পরিবার পেলো নিজ ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। বুধবার গণভবন থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলাসহ কুমিল্লায় ১ হাজার ৭শ ৯০টি পরিবারকে ২শতক ভূমিসহ একক ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এদিকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ,লাকসাম চৌদ্দগ্রাম,চান্দিনা ,লালমাই ও বিপাড়াসহ ৬উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ১ হাজার ৭ শ’ ৯০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে ।কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় উদ্বোধন যোগ্য ঘরের সংখ্যা ৮৬টি, সদর দক্ষিণে ১৬০টি, নাঙ্গলকোটে ১২৪টি, লাকসামে ৭২টি, মনোহরগঞ্জে ১১২টি, লালমাইতে ৪৮টি, বরুড়াতে ৭৮টি, চান্দিনাতে ১০৩টি, দাউদকান্দিতে ১৩০টি, মেঘনায় ৭৪টি, তিতাসে ৮৪টি, হোমনা ৫৭টি, মুরাদনগরে ১১৫টি, দেবিদ্বারে ১৫০টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২১৮টি এবং বুড়িচং উপজেলায় ৯৯টি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান জাকির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াসিম, সমবায় কর্মকর্তা তানভীর আহমদ,সমাজ সেবা কর্মকর্তা রাশেদ মিয়াজী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম পাঠান,মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদ হাসান, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো দেবব্রত দাশ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ,উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরমগীর হোসেন,আদুল মান্নন,ইকবাল হোসেন,মফিজুর রহমান,আবদুল মজিদ খান রাজু, খিলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়াম্যান রুহুল আমিন সহ১৭ উপজেলার নির্বাহীকর্মকর্তা,উপজেলা চেয়ারম্যান , রাজনৈতিক নেতৃবৃনন্দসহ সরকারি কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।