বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক পেলেন কুমিল্লার দুই শিল্পী
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ও আবৃত্তি স্মারক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উৎসব উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্ত ছিলেন কুমিল্লার আবৃত্তি শিল্পীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ও সারাদেশের ৫০জন গুণী শিল্পী প্রশিক্ষক ও সংগঠকদের বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
কুমিল্লা জেলায় সংগঠক ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি এবং আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক হিসেবে বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী কাজী মাহতাব সুমন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক পেয়েছেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ফারহানা পৃথা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক কাজী মাহতাব সুমন, জেলা কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আল আমিনসহ আবৃত্তি শিল্পীরা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান আবৃত্তিশিল্পী কাজী মাহতাব সুমনের হাতে স্মারক তুলে দেন। এ উপলক্ষে “শতবর্ষে শত কবিতায় মুজিব” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
সারাদেশে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে উৎসবে যোগ দেন ৩৬৩টি আবৃত্তি সংগঠনের তিন হাজার নয়শত ছয় জন নিবন্ধন করা আবৃত্তিশিল্পী। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত কুমিল্লার নয়টি আবৃত্তি সংগঠন আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লা, ধ্বনিচিত্র, শব্দশ্রুতি, শাণিত উচ্চারণ,বাগব্যান্জনা, অনুপ্রাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার ও বাচিক বিকাশ কেন্দ্র কুমিল্লার সদস্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২৮জানুয়ারি শুক্রবার বিকাল চারটায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে সংগঠনগুলো। কুমিল্লা জেলার উৎসব সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য মোঃ আল আমিন ও গোলাম মোস্তফা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পক্ষে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আয়াজ মাবুদ।