কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের তাণ্ডব। এলাকায় মাদক বিক্রির টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বাগ-বিতান্ড, মাদক বিক্রির বিস্তারিত নিয়ে একাধিক সংঘর্ষ এবং বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়াতে! মাদক কারবারিরা অন্তত ৬জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত করেছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গবার (৯জুলাই) বিকেলে বড়শালঘর ইউনিয়নের সংচাইল বাজার ও বড়শালঘর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে এ ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা কামাল ও মুনু মেম্বার বলেন, গত রবিবার বিকালে দেবিদ্বার থানা পুলিশের একটি টিম হঠাৎ মাদক ব্যবসায়ী রবির বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে তার স্ত্রীকে ২কেজি গাজাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রবি বিলের পানিতে পরে যায়। পরে পুলিশের ঢিলে রবি গুরুতর আহত হয় এবং পালিয়ে যায়। পুলিশ গাজাসহ রবির স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা গ্রামবাসী করিয়েছে এমন সন্দেহ করে রবির ভাই মোশারফ ও রবির দুই ছেলে জুম্মন, মুন্নাসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় বিল্লাল হোসেন ও মোজাম্মেল। স্থানীয়রা বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।অথচ গ্রামবাসী পুলিশের অভিযানের বিষয়ে কোন কিছু জানেই না।
খাদিজা বেগম বলেন, মাদক ব্যবসায়ীর কারণে প্রায় ঘরে আজ অশান্তির আগুন জ্বলছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেও কয়েকদিন পর জেল থেকে বের হয়ে আবার বেপরোয়া হয়ে উঠে। এদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। এ গ্রামে বসবাস করার মত কোন পরিবেশ নাই। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মাদক কারবারী রবি ও তার পরিবারকে সেল্টার দেয় তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে জানতে রবির বাড়িতে গিয়ে রবি ও তার ছেলেদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে রবির মেয়ে ময়না আক্তার ও পাখি আক্তার বলেন, আমরা ঢাকা থাকি, আমার বাবা মাদকের সাথে জড়িত কিনা বলতে পারিনা। তবে ওইদিন গ্রামের লোকজন বাড়িতে পুলিশ পাঠায়। আমার মাকে গ্রেপ্তার করে, তিনি এখন জেলে আছে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, মাদক ব্যবসায়ীর রবির বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার স্ত্রীকে গাঁজসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বর্তমানে জেলহাজতে আছে। দেবিদ্বারে মাদক চলতে দেয়া হবে না। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। মাদকের সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া তাদের গ্রেফতার করা হবে।