ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোরিকশাচালক আ. সামাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে জড়িত দুই সহোদরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় সামাদকে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন দুই সহোদর ও তাদের বন্ধুরা। বুধবার (৬ জুলাই) জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবি ওসি সফিকুল জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার দাদরা এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিন মিয়া (১৯), তার বড় ভাই মো. রোহান মিয়া (২৪), হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯), পঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)। বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত রবিন মিয়া নিহত অটোরিকশা চালক সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বন্ধুত্বের সুবাদে রবিনের বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করতো সামাদ। রবিনের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে তার ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সামাদের। প্রেমের বিষয়টি রবিন ও রোহান জানার পর আ. সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যায় রবিন, রোহান ও নাঈম। সেখানে ঝোপের আড়ালে আগেই ওঁৎ পেতে ছিল শাহীনসহ আরও দুজন। পরে সামাদকে সেখানে নেওয়ার পর প্লাস্টিকের রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে তারা।
পরে মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পাশে অটোরিকশা দেখে আশপাশে সামাদকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত সামাদের বাবা শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপরই অভিযানে নামে জেলা ডিবি পুলিশ। অভিযানে লাশ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com