নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাইশটেকি গ্রাম থেকে বন্ধুর সঙ্গে কুমিল্লায় ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন মাজহারুল ইসলাম নামে এক যুবক। রোববার ( ১৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।মাজহারুল সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের বাইশটেকি গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, শনিবার বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কুমিল্লায় ঘুরতে যান মাজহারুল। ওইদিন রাত ১০টার দিকে নাফিজ নামে এক যুবক মাজহারুলের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় সে সড়কে আহত হয়ে ঢাকার ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন।
এ খবর শুনে পরিবারের লোকজন নাফিজকে চিকিৎসার টাকা নিতে কাঁচপুর আসতে বলে। কাঁচপুর আসার কথা বললে নাফিজ মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে মাজহারুলের পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে হাসপাতালে যায়। গিয়ে দেখে মাজহারুল আইসিইউতে রয়েছে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে তারা বিষয়টি জানায়। রোববার বিকেলে মাজহারুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এসআই আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন মাজহারুলের শরীরে নেই। তবে তার মাথায় আঘাত রয়েছে। মাথার এক পাশ ফুলে রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মামা মিলন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তার ভাগিনা শনিবার বিকেলে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন। এটা নিশ্চিত একটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডটি সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যান মাজহারুল ও তার বন্ধুরা। পরে মাজহারুলের এক বন্ধু স্বজনদের জানান ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। স্বজননরা হাসপাতালে গিয়ে মাজহারুল মৃত অবস্থায় পেলে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে নিহতের মরদেহ ঢাকা থেকে এনে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। পুরো বিষয়টির তদন্ত করার জন্য ঢাকা ও কুমিল্লায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।