বরুড়ায় প্রবেশপত্রের নামে এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

বরুড়ায় আসন্ন এস এস সি দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের নামে অর্থ আদায়ের অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছর বরুড়ায় এস এস সি পরীক্ষা চার হাজার দুই শত সাঁইত্রিশ জন ,দাখিলে নয়শত পঁচানব্বই জন ও এস এস সি (ভোকেশনালে) মোট একশত দুইজন জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। চলতি বছর এস এস সি পরীক্ষায় বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সেন্টারে সাতশত নয়জন পরীক্ষার্থী, আড্ডা উম্মেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সেন্টারে সাতশত আটষট্টি জন শিক্ষার্থী, পয়ালগাছা বহুমুখী উচ্চ বিদয়ালয়ে চারশত বাহান্ন জন শিক্ষার্থী, কাদবা তলাগ্রাম ত চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনশত তেতাল্লিশ জন শিক্ষার্থী, বাতাইছড়ী উচ্চ বিদ্যালয় সেন্টারে ছয়শত সাতাত্তর জন শিক্ষার্থী, মহেশপুর আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ছয়শত ঊনিশ জন শিক্ষার্থী, ঝলম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সেন্টারে তিনশত একজন শিক্ষার্থী, গালিমপুর তারক চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনশত আটষট্টি জন পরীক্ষার্থী সহ মোট চার হাজার দুইশত সাঁইত্রিশ জন শিক্ষার্থী ২০২৩ইং সনের এস এস সি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে চলতি ২০২৩ ইং সনের দাখিল পরীক্ষায় বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় তিনশত ঊনআশি জন পরীক্ষার্থী, কাজকামতা আশ্রাফিয়া আলিম মাদ্রাসায় তিনশত পঁয়তাল্লিশ জন শিক্ষার্থী, চালিতাতলী দারুচ্ছুন্নাহ আলীম মাদ্রাসায় দুইশত একাত্তর জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
আগানগর আবুল বশির কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় সেন্টারে একশত দুইজন শিক্ষার্থী এস এস সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। সরেজমিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০০/৫০০ টাকা হারে অর্থ আদায় করছে প্রতিষ্ঠান গুলো। যেই শিক্ষার্থী টাকা দিতে পারছেনা তার প্রবেশপত্র আটক করে রাখছে। উল্লেখ্য উপজেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফর্মফিলাপের নামে বোর্ডফির অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে এবং কোচিংয়ের নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ জামাল নাছেরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার সময় স্পষ্ট ভাষায় বলেছি প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় যেন কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একটি টাকাও না নেওয়া হয়, এ সময় তিনি প্রবেশপত্র বাবদ কোন অর্থ না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের সোচ্চার হবার জন্য বলেন আর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর ব্যাপারে ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
শান্ত/অননিউজ