হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা বলেছেন ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বর্তমান সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে মাদরাসা ছাত্র ও আলেম ওলামারা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। দেশবাসী নতুন করে স্বাধীনতা লাভের পর কেউ বলতে পারবেননা হেফাজতে ইসলাম, মাদরাসার ছাত্র কিংবা কোন আলেম ওলামা অথবা ইসলামি দলগুলোর কোন কর্মী কোথাও চাঁদাবাজি করেছে, লুটাপাট করেছে, কারো জমি দখল করেছে! এজন্যই সকল ইসলামি দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
ইসলাম কখনো অন্যায়ভাবে ভিন্নধর্মের লোকদর ওপর আঘাত কিংবা হামলার সমর্থন দেয় নাই। মাদরাসা ছাত্র ও আলেম ওলামারা রাত জেগে মন্দির ও হিন্দু-বৌদ্দ-খ্রিস্টানদের ঘরবাড়ি পাহারা দিয়ে সবাইকে নিরাপদে ঘুমানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। সারাদেশে টুকিটাকি থানায় কিংবা পুলিশ বাহিনীর ওপর বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা হলেও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মানুষগুলো ছিল ব্যতিক্রম। সকল দলের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে মানব প্রাচীর করে সোনাগাজী মডেল থানা ও পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করেছিলেন। হেফাজতে ইসলাম সহ ইসলামি দলগুলো সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করেন। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে আলেম ওলামা ও মাদরাসা ছাত্ররা নিরবে আ.লীগ সরকারের অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়েছে। কেউ কিন্তু প্রতিশোধ নেননি। সোমবার রাত নয়টায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসির কক্ষে নতুন ওসির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় হিন্দুদের আগামী দুর্গাপূজার সময় নিরাপত্তার জন্য ওসি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাইলে, হেফাজতে ইসলাম তথা সকল ইসলামি দলের পক্ষ থেকে হিন্দুদের পূজায় নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ'র সোনাগাজী উপজেলা আমির হাফেজ মাও. আবু সাঈদ, সেক্রেটারি মুফতি নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আবদুর রহমান, মুফতি আহসান উল্যাহ কাসেমী, মুফতি আবদুর রহমান ফরহাদ, মাও. আশরাফ আলী, রফিকুল ইসলাম, হাফেজ হিজবুল্লাহ, সোনাগাজী মডেল থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ, হাফেজ নুরুল আলম, হাফেজ মাঈন উদ্দিন ও হাফেজ সাইফুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।