যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান আজ আশ্বাস দিয়েছেন যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ব্রিটিশ সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লন্ডনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেন। বৈঠকে আলম অবাধ ও সুষ্ঠু সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এফসিডিও প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজকীয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ব্রিটিশ সরকারের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ঋষি সুনক রাজকীয় রাজ্যাভিষেকের সময় হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে এভিয়েশন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপের কমিউনিক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ব্রিটিশ মন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টির বাইরে না যায়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা গত সপ্তাহে হংকং কনভেনশন অন শিপ রিসাইক্লিং-এ যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কনভেনশন কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং পরিবেশবান্ধব সবুজ জাহাজ চলাচল ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
উভয় পক্ষই কমনওয়েলথ বিষয়ক বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যুতে তাদের মতামত আদানপ্রদান করে নেয় এবং ঢাকায় আসন্ন কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করে। বৈঠকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
এসকেডি/অননিউজ