বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আটকে থাকা ভারতীয় চাল ভর্তি ট্রাকে আগুন
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ের চতুর্দশীও স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল ভর্তি এক ট্রাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল ট্রাকটিকে। তবে এ ঘটনায় কিছু খতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান চালের আমদানিকারক পুলক এন্টারপ্রাইজ।
এর আগে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার সময় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় তিনদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ভারত থেকে আমদানিকৃত চালভর্তি ওই ট্রাকে এই ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আমদানিকৃত চাল ভর্তি ট্রাকে আর্শিক অগ্নিপাত ঘটে। আগুনের লেলিহা বারতে থাকায় দ্রুত তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রাকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বন্দরে অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা যেতো। অগ্নিকাণ্ডের সময় বন্দরের ইয়াডে আরো প্রায় শতাধিক পন্য বোঝাই ট্রাক খালাশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলো। যদি দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না যেতো তাহলে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতো বলে ব্যাবসায়ীদের দাবী।
চাল আমদানিকরক পুলক এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুস সামাদ পুলক জানান, গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় এক্সপোর্টার ব্রিজ কিশোরের কাছ থেকে ১০০ টন চাল ৩ ট্রাকে ইমপোর্ট করা হয়। বৃহস্পতিবার দুটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জটিলতায় একটি ট্রাক ভারতে আটকে থাকে। এদিকে বন্দর ইয়াডে গত তিনদিন ধরে গাড়িটি পন্য খালাশের অপেক্ষা ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীর কারণে দুর্ঘটনা টি ঘটেছে। তারা যদি দ্রুত চালগুলো আনলোড করতে দিত তাহলে এমনটি হতো না। ট্রাক থেকে এখনো মালগুলো আনলোড করা হয়নি। পুরোপুরি আনলোড করা হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বাংলাবান্ধা বন্দরের ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধ। যেখানে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান এর সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ হয়েছে। বন্দর প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো নেই কোনে অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা। তাই আজ স্থলবন্দরে আমদানিকৃত চাল ভর্তি ট্রাকে আগুন।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, ট্রাকের চালকের থাকা ক্যাবিনে শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে চালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার পর পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় সময়মতো মালগুলো আনলোড করা হয়েছে। বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তেমন ভাবে না থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24