বাগমারায় আইন অমান্য করে বিরোধপূর্ণ দীঘি থেকে জোরপূর্বক মাছ লুটের মামলায় অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের ৮ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- তাঁতীপাড়া ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, মচমইল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মাহাবুর রহমান, কৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আইনুল হক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েবুল্লাহ, ব্যাংক কর্মকর্তা মারুফ হাসান, স্থানীয় আ.লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, মোজাফ্ফর হোসেন ও মাহফুজুর রহমান। সোমবার তারা রাজশাহীর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার মুগাইপাড়া গ্রামের একটি দীঘিতে মাছচাষ নিয়ে আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জানমোহাম্মদ বাহিনীর লোকজনের সঙ্গে অগ্রনী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মাসুদ রানা কবিরাজের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দীঘিতে কোন পক্ষই মাছ ধরতে পারবে না মর্মে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু সেই আইন অমান্য করে সরদার জানমোহাম্মদ ও তার বাহিনীর লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্ষমতার জোরে বিরোধপূর্ণ ওই দীঘিতে অনাধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মাসুদ রানা কবিরাজ বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জানমোহাম্মদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। পিবিআই ওই মামলার তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আসামিদের প্রতি সমন জারি করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন জানান, এ মামলায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, প্রভাষক মাহাবুর রহমান, সহকারি শিক্ষক আইনুল হক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েবুল্লাহ, ব্যাংক কর্মকর্তা মারুফ হাসান, স্থানীয় আ.লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, মোজাফ্ফর হোসেন ও মাহফুজুর রহমান সোমবার রাজশাহীর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এফআর/অননিউজ