বাগমারায় অন্যের দুর্নীতি ধরতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন প্রকল্পের হিসাব রক্ষক মিঠু

আবু বাককার সুজন, বাগমারা (রাজশাহী)

বাগমারার জোকা বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের দুইজন সহ-সভাপতিসহ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেই দুর্নীতিতে ফেঁসে গেছেন হিসাব রক্ষক সাজ্জাদুর রহমান মিঠু। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওই প্রকল্পের প্রায় ৬২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সাল থেকে নরদাশ ইউনিয়নের জোকা বিলের সমস্ত কৃষি জমিতে বিনামূল্যে সেচ সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষ শুরু করা হয়।

এরপর কয়েক বছর থেকে কৃষকদের বছরে বিঘা প্রতি ছয় হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ‘জোকা বিল মৎস্যচাষ প্রকল্প’ নামে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয়ভাবে মাছ চাষ শুরু করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির দুইজন সহ-সভাপতিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রকল্পের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন প্রকল্পের হিসাব রক্ষক সাজ্জাদুর রহমান মিঠু। এরপর তাদের বিরুদ্ধে সেই দুর্নীতি প্রমাণ করতে গিয়ে হিসাব রক্ষক মিঠু নিজেই দুর্নীতির জালে ধরা পড়েন।

প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, হিসাব রক্ষক সাজ্জাদুর রহমান মিঠু ও ক্যাশিয়ার আফসার আলী আমারসহ আরো কয়েকজন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের এক লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা, একাধিক ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে তিন লক্ষ ৫২ হাজার টাকা, আড়তে মাছ বিক্রয় করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকাসহ মোট ৬২ লক্ষ সাত হাজার আত্মসাত করেছেন। আত্মসাতের সেই প্রমান ঢাকতে তারা দুটি আয়ের ভাউচার বইও গায়েব করে দিয়েছেন। এছাড়া প্রকল্পের সভাপতি এফাজুর রহমান জানান, প্রকল্পের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ করতে গিয়ে হিসাব রক্ষক মিঠু নিজেই দুর্নীতির জালে ধরা পড়েছেন। এ কারণে তাকে প্রকল্প থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক সাজ্জাদুর রহমান মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সবাই মিলে চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরো দেখুনঃ