অপহরণের এক মাস অতিবাহিত হলেও অপহরণের শিকার বাগমারার ভানসিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আজো উদ্ধার কিংবা অপহরণকারী গ্রেফতার হয়নি। এতে অভিভাবকরা একদিকে যেমন হতাশগ্রস্থ হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে এলাকাবাসীর মাঝে এখন চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে অপহরণ মামলার আসামীদের রক্ষা করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাতিয়াতী করে ভিকটিম ছাত্রীর জন্ম তারিখ পাল্টিয়ে ৬ বছর বাড়িয়ে সনদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ভানসিপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে ভানসিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী গত ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় একই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ২ সন্তানের জনক বখাটে বাবু হোসেন মরু ও তার তিনজন সহযোগী ওই ছাত্রীকে টেনেহিঁছড়ে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে আমলে না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর গত ২১ মার্চ ভিকটিমের চাচা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বখাটে বাবু হোসেন মরু ও তার সহযোগী আলতাফ হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ভিকটিমের চাচা জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মামলার আসামীদের রক্ষা করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ভিকটিমের জন্ম তারিখ পাল্টিয়ে নতুন করে জন্ম সনদ দিয়েছেন। স্কুলে ভর্তির সনদ ও টিকার কার্ড অনুযায়ী ভিকটিমের আসল জন্ম তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১০ ইং। কিন্তু চেয়ারম্যান জালিয়াতী করে ভিকটিম ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর জন্ম তারিখ ৬ বছর বাড়িয়ে ৬ ডিসেম্বর ২০০৪ বানিয়ে সনদ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, জন্ম সনদ নেওয়ার জন্য যেভাবে আবেদন করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী ওই ছাত্রীর জন্ম সনদ দেওয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে একটি মামলা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।