বাগমারায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিxনীর প্রধান সেনামুলসহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

ওই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার সকালে বাইরুপাড়া ও বিলবাড়ী গ্রামের বিক্ষুব্ধ লোকজন একজোট হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সেনামুল হকসহ তার বাহিনীর লোকজনের চারটি বাড়িঘর ভাংচুর করে গ্রাম থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সরজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, বাগমারার কারাবন্দি সাবেক এমপি আবুল কালামের সহচর এলাকার চিহ্নি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সেনামুল হকসহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হামলায় বারুইপাড়া গ্রামের সামশুল হক, জয়নাল আবেদীন, মাসুদ ও নাজিমসহ ৭ জন ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে গেছেন। বারুইপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী।

এই ঘটনায় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সেনামুল হকসহ তার বাহিনীর ১০ জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে প্রাণের ভয়ে তিনি প্রায় ছয় মাস ধরে গ্রামে ফিরতে পারেননি।

ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে একই গ্রামের সামশুল হক, বাড়িঘর ভাংচুর ও চাঁদাদাবির অভিযোগে ইয়ার আলী এবং চাঁদা না পেয়ে মারপিটের অভিযোগে রমজান আলীসহ পৃথকভাবে থানায় তিনটি মামলা করেছেন।

এছাড়া ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা, মারপিট, জমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও আদালতে আরও পাঁটি মামলা রয়েছে।

এদিকে চাঁদা না দেওয়ায় রোববার রাতে বাঙ্গাল বাজারে টিপু সুলতানের মাথায় প্রাকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী সেনামুল হক। এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী একজোট হয়ে ওই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের চারটি বাড়িঘর ভাংচুর করে গ্রাম থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় ওই বাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও তাদের কাছে থাকা অন্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সেনামুল হক বলেন, ভ্রমন সমিতির চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গ্রামের লোকজন হামলা চালিয়ে তাদের চারটি বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। প্রাণের ভয়ে তারা এখন গ্রামে ফিরতে পারছেন না। থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।

আরো দেখুনঃ