বাগমারায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিল দখলের অভিযোগ জলাবদ্ধতায় শতাধিক বিঘা জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
বাগমারায় বিএনপির এক নেতা এবং সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সম্পাদক রেজাউল করিম শেখের বিরুদ্ধে পাতিয়ার বিল জোরপূর্ব দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিলটি অবৈধভাবে দখল করে রাখায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে ওই বিলের প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে এখন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিলটি উন্মুক্ত রাখার দাবিতে খাজুর গ্রামের আকতারুজ্জামান, শাহাদত হোসেন ও আবুল হোসেনসহ ৪৫ জন কৃষক প্রতিকার চেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ করখন্ড ও শালজোড় মৌজায় অবস্থিত পাতিয়ার বিল ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছরের জন্য কয়েকজন কৃষকের নিকট থেকে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কন্ট্রাক নেন। কিন্তু সে চুক্তিপত্রের মেয়াদ ৬ মাস আগে শেষ হলেও রেজাউল করিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা এবং গোবিন্দপাড়া ইউপির এক সাবেক চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় এখনো বিলটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তাছাড়া বিলটি অবৈধভাবে দখলে রাখার উদ্দেশ্যে সে প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে তার পক্ষের মাত্র কয়েকজন কৃষকের কাছে থেকে নতুনভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করে বিলটিতে তার অবৈধ দখল স্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বর্ষা মওসুমে
স্থানীয় কিছু গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবি ও কৃষকরা তাদের মালিকানাধীন জমিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু আ.লীগ নেতা রেজাউল করিম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার বাহিনী দ্বারা ওইসব কৃষক ও মৎস্যজীবিদের হুমকি-ধামকি দিয়ে বিলে নামতে দিচ্ছেন না। কোনো কৃষক বা মৎস্যজীবিরা তাদের মালিকানাধীন জমিতে নামতে গেলে তাদের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিলটিতে বর্তমানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে ফসল চাষ অনিচ্ছিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে অবৈধ দখল থেকে বিলটি উদ্ধার করে এলাকার গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবিরা যেন স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে ও কৃষকরা তাদের জমিতে
সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম শেখ বলেন, তিনি খাজুর ও শালজোড় গ্রামের কিছু কৃষকের কাছে থেকে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বিলটির কিছু জমি মাছ চাষের উদ্দেশ্যে নতুনভাবে লিজ নিয়ে বিলটি তার দখলে রেখেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি দ্রæত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একে/অননিউজ24